যাত্রাবাড়ী, কাজলা, শনির আখড়া, চিটাগাং রোড ! ২৪ এর ছাত্র জনতার অভ্যুথানের রক্তক্ষয়ী রণক্ষেত্র ! সেই সহযোদ্ধাদের জনস্রোতের সাথে আজকের কিছু স্মৃতি...
১.ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ ২. সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ ৩.দারুননাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা ৪.জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া (যাত্রাবাড়ী বড় মাদ্রাসা) ৫.দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ৷
শহীদ ভাইয়ের বাবা: ক্ষমতার জন্য একটা মানুষ কিভাবে হাজার হাজার মানুষকে খুন করতে পারে ? ওর কত রক্ত লাগবে ? আমার একমাত্র ছেলেকে ওই খুনি এভাবে খুন করতে পারলো ? ওই খুনির যেন বিচার দেখে মরতে পারি !
জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের আঘাত করেছে,অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে যাব ৮.৩০ এ । জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
গতকাল পর্যন্ত July Shaheed Smrity Foundation এর পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিক্যাল, CMH, BSMMU, NITOR, চক্ষু ইন্সটিটিউট ,ট্রমা সেন্টার, CRP-Savar সহ বিভিন্ন হসপিটালে ভর্তি থাকা ২৪৫জন আহত যোদ্ধাকে ২কোটি ৪১লক্ষ ৩৮হাজার ৬৮৫টাকা আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৷
এখন স্বচ্ছ ভ্যারিফিকেশনের জন্য কিছুটা সময় বেশি লাগলেও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যারিফিকেশন শেষ করে সকল আহত যোদ্ধাদের কাছে আমাদের আর্থিক সহযোগিতা পর্যায়ক্রমে পৌঁছে দেওয়া হবে ৷
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা প্রবেশ করে সেই তালিকাকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো, বিতর্কের মুখে ফেলেছিলো সেই অভিজ্ঞতা আমরা আমাদের ২৪ এর অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের সাথে হতে দিতে চাইনা ৷ তাই ভ্যারিফিকেশনে আমরা সর্বোচ্চ জোর দিচ্ছি ৷
পাশাপাশি আগামী ৪ দিনের মধ্যে প্রথম ধাপে ২০০ শহিদ পরিবারকে আমরা আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দিব ইনশাআল্লাহ৷
একটা বিষয়ে স্পষ্ট দ্বিমত প্রকাশ করতে চাই ৷ বিষয়টা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ৷ যেহেতু অন্য ক্ষেত্র নিয়ে আমার ক্লিয়ার আইডিয়া নেই তাই সেসব রিলেট না করার জন্য আহবান করছি ৷
১জুলাই এর পূর্বে এবং ১জুলাই থেকে ১৫জুলাই পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্দোলন চলমান ছিল সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন ছিল ৷ এই আন্দোলনটা মেইনলি ১৫ তারিখ পর্যন্ত হলের ছেলেমেয়েরাই নিয়ে গিয়েছে ৷
যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সম্পর্কে ধারনা রাখেন তারা খুব ভালো করে জানেন এখানে হলে থাকতে হলে অবশ্যই ছাত্রলীগ করতে হতো ৷ তাদের প্রোগ্রাম, গেস্টরুম করতে হতো ৷ গনরুমে থাকতে হতো ৷ সেজন্য হলে যারা থাকতো তাদের অধিকাংশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই এসব করতো ৷
এবার আরেক প্রসঙ্গে আসি ৷ হলের যে ছাত্রলীগের কমিটি হতো এখানে প্রায় ৮০% শিক্ষার্থী কমিটিতে থাকতো কিছু কারনে- যেমন: ১.ভালো একটা রুম বা সিট যেন পাওয়া যায় ২.যেন চাকরি হওয়া পর্যন্ত হলে থাকা যায় ৩. অন্যরা যেন তার উপর অন্যায় না করে বা ট্যাগ না দেয় ৷
বাকি ২০% এর মধ্যে অনেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করতো, অনেকে ভিন্ন মতের লোকদের উপর অত্যাচার করতো, অনেকে ক্যান্ডিডেট হতো, অনেকে একটু ফাপর নিয়ে চলতো৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক এই প্রথম ধাপের ১৬-১৭ দিনের আন্দোলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ওই ৮০% স্টুডেন্ট ৷ তারা যেমন পোস্টেড ছিল তেমনি হলের তুলনামূলক ক্লিন ইমেজ প্রভাব রাখা ফেইস ছিল ৷ তারা হল থেকে ব্যানার নিয়ে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে নেমেছিল বলেই আদার্স নন-পোস্টেড সাধারন শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে বের হয়ে আসতে পেরেছিল এবং একারনেই ক্যান্ডিডেটরা হল থেকে প্রোগ্রাম নিয়ে আন্দোলনে আসা আটকাতে পারেনি ৷ এই পোস্টেড ছেলেরা হল থেকে এক হয়ে বের না হলে নন-পোস্টেডরাও এক হয়ে বের হয়ে আসার সাহস করতে পারতো না ৷ ওই গার্টস আর বোল্ডনেস এই ছেলেগুলাই শো করতে পারে ৷ হলের পার্সপেক্টিভে সত্য এটাই যে, এই পোস্টেড তুলনামূলক ক্লিন ইমেজের হলের ছেলেরা আন্দোলনে এসেছিলো বলেই ১জুলাই থেকে ১৫ জুলাই সম্ভব হয়েছিলো এবং আন্দোলনটাকে প্রাথমিকভাবে অন্য কোনো দলের বা সরকারবিরোধী ট্যাগ দেওয়া যায়নি ৷
১৫জুলাই পর্যন্ত আন্দোলন না আসলে ৫ আগস্ট কখনো সম্ভব হতো কিনা সে বিষয়ে ঢের সন্দেহ আছে ৷
এখন প্রশ্ন হচ্ছে হলের এই পোস্টেড ছেলেগুলোকে আমি ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে নিষিদ্ধের কাতারে ফেলবো কিনা ৷ উত্তর : "ফেলবো না ৷"
যারা ১জুলাই থেকে আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে রাজপথে ন্যায়ের পক্ষে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছে তারা তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে ৷ সত্য এটাই যে, এই আন্দোলন সফল না হলে এই ছেলেগুলোকেই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হতো ৷ বিশ্বাসঘাতক ট্যাগ দেওয়া হতো ৷
যে সিস্টেমের কারনে এদেরকে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হয়েছে, পোস্ট নিতে হয়েছে সেই সিস্টেমের জন্য দায়ী হলে আপনাদের সবাইকে দায়ী হতে হবে ৷ কারন আপনারা চুপ ছিলেন ৷ হলে, ক্যাম্পাসে দিনের পর দিন ওদের সাথে হওয়া অন্যায়ে কেউ বাঁধা দেননি ৷ ওরা যদি সেইফটি এন্ড সিকিউরিটির জন্য পোস্ট নেয় তবে আপনিও নিজের গা বাঁচাতে চুপ ছিলেন ৷ বরং যখনই সুযোগ হয়েছে ওরা সাহস করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এসেছে ৷ আর তখনও আপনি নিরব দর্শক হয়ে অনেক কিছু শুধু দেখে গেছেন ৷
এই ৮০% ছেলের কেউ যদি পূর্বে কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার শাস্তি হোক, কেউ যদি পরে কোনো অন্যায়ে জড়িত হয় তবে তদন্ত সাপেক্ষে তারও শাস্তি হোক ৷ কিন্তু যখন দরকার ছিল তখন রাজপথে নামালাম আর এখন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পোস্টেড দেখেই গণহারে গ্রেফতার হবে এটা কখনোই সমর্থন করিনা ৷ এটা হতে পারেনা ৷
যারা সময়ের প্রয়োজনে ন্যায়ের পক্ষে ছাত্রলীগের সকল বাঁধা উপেক্ষা করে আমার সাথে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছে তারা আমার ভাই ৷ ২৪ এর অভ্যুত্থানের যোদ্ধা ৷ আমি তাদের পক্ষে থাকবো ৷
সত্য সত্যই ৷ কে কি বললো তাতে আমার কিছু যায় আসেনা ৷
Sarjis alom officials
যাত্রাবাড়ী, কাজলা, শনির আখড়া, চিটাগাং রোড !
২৪ এর ছাত্র জনতার অভ্যুথানের রক্তক্ষয়ী রণক্ষেত্র !
সেই সহযোদ্ধাদের জনস্রোতের সাথে আজকের কিছু স্মৃতি...
১.ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ
২. সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ
৩.দারুননাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা
৪.জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া (যাত্রাবাড়ী বড় মাদ্রাসা)
৫.দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ৷
সমন্বয়ক সারজিস আলম
7 hours ago | [YT] | 17
View 0 replies
Sarjis alom officials
অক্টোবরেও রেমিট্যান্স প্রবাহমান অনেক
সমন্বয়ক সারজিস আলম
1 day ago | [YT] | 43
View 12 replies
Sarjis alom officials
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রযোজিত শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ
কার্যক্রমের একাংশ (চলমান)
সমন্বয়ক সারজিস আলম
1 day ago | [YT] | 30
View 9 replies
Sarjis alom officials
শহীদ ভাইয়ের বাবা:
ক্ষমতার জন্য একটা মানুষ কিভাবে হাজার হাজার মানুষকে খুন করতে পারে ? ওর কত রক্ত লাগবে ? আমার একমাত্র ছেলেকে ওই খুনি এভাবে খুন করতে পারলো ? ওই খুনির যেন বিচার দেখে মরতে পারি !
সমন্বয়ক সারজিস আলম
2 days ago | [YT] | 77
View 15 replies
Sarjis alom officials
যেই পথে গেছে আপা,
সেই পথে যাবে জাপা।
নোট: কেয়ামতের সময়ের তওবা কবুল হয়না।
সমন্বয়ক সারজিস আলম
3 days ago | [YT] | 74
View 20 replies
Sarjis alom officials
জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের আঘাত করেছে,অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে যাব ৮.৩০ এ । জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
সমন্বয়ক সারজিস আলম
4 days ago | [YT] | 69
View 7 replies
Sarjis alom officials
পঞ্চগড়ের স্কুলে স্কুলে...
পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,
আটোয়ারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়...
এরপর কোথায়?
5 days ago | [YT] | 37
View 4 replies
Sarjis alom officials
গতকাল পর্যন্ত July Shaheed Smrity Foundation এর পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিক্যাল, CMH, BSMMU, NITOR, চক্ষু ইন্সটিটিউট ,ট্রমা সেন্টার, CRP-Savar সহ বিভিন্ন হসপিটালে ভর্তি থাকা ২৪৫জন আহত যোদ্ধাকে ২কোটি ৪১লক্ষ ৩৮হাজার ৬৮৫টাকা আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৷
এখন স্বচ্ছ ভ্যারিফিকেশনের জন্য কিছুটা সময় বেশি লাগলেও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যারিফিকেশন শেষ করে সকল আহত যোদ্ধাদের কাছে আমাদের আর্থিক সহযোগিতা পর্যায়ক্রমে পৌঁছে দেওয়া হবে ৷
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা প্রবেশ করে সেই তালিকাকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো, বিতর্কের মুখে ফেলেছিলো সেই অভিজ্ঞতা আমরা আমাদের ২৪ এর অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের সাথে হতে দিতে চাইনা ৷ তাই ভ্যারিফিকেশনে আমরা সর্বোচ্চ জোর দিচ্ছি ৷
পাশাপাশি আগামী ৪ দিনের মধ্যে প্রথম ধাপে ২০০ শহিদ পরিবারকে আমরা আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দিব ইনশাআল্লাহ৷
সমন্বয়ক সারজিস আলম
6 days ago | [YT] | 45
View 5 replies
Sarjis alom officials
একটা বিষয়ে স্পষ্ট দ্বিমত প্রকাশ করতে চাই ৷
বিষয়টা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ৷ যেহেতু অন্য ক্ষেত্র নিয়ে আমার ক্লিয়ার আইডিয়া নেই তাই সেসব রিলেট না করার জন্য আহবান করছি ৷
১জুলাই এর পূর্বে এবং ১জুলাই থেকে ১৫জুলাই পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্দোলন চলমান ছিল সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন ছিল ৷ এই আন্দোলনটা মেইনলি ১৫ তারিখ পর্যন্ত হলের ছেলেমেয়েরাই নিয়ে গিয়েছে ৷
যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সম্পর্কে ধারনা রাখেন তারা খুব ভালো করে জানেন এখানে হলে থাকতে হলে অবশ্যই ছাত্রলীগ করতে হতো ৷ তাদের প্রোগ্রাম, গেস্টরুম করতে হতো ৷ গনরুমে থাকতে হতো ৷ সেজন্য হলে যারা থাকতো তাদের অধিকাংশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই এসব করতো ৷
এবার আরেক প্রসঙ্গে আসি ৷ হলের যে ছাত্রলীগের কমিটি হতো এখানে প্রায় ৮০% শিক্ষার্থী কমিটিতে থাকতো কিছু কারনে-
যেমন:
১.ভালো একটা রুম বা সিট যেন পাওয়া যায়
২.যেন চাকরি হওয়া পর্যন্ত হলে থাকা যায়
৩. অন্যরা যেন তার উপর অন্যায় না করে বা ট্যাগ না দেয় ৷
বাকি ২০% এর মধ্যে অনেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করতো, অনেকে ভিন্ন মতের লোকদের উপর অত্যাচার করতো, অনেকে ক্যান্ডিডেট হতো, অনেকে একটু ফাপর নিয়ে চলতো৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক এই প্রথম ধাপের ১৬-১৭ দিনের আন্দোলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ওই ৮০% স্টুডেন্ট ৷ তারা যেমন পোস্টেড ছিল তেমনি হলের তুলনামূলক ক্লিন ইমেজ প্রভাব রাখা ফেইস ছিল ৷ তারা হল থেকে ব্যানার নিয়ে আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে নেমেছিল বলেই আদার্স নন-পোস্টেড সাধারন শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে বের হয়ে আসতে পেরেছিল এবং একারনেই ক্যান্ডিডেটরা হল থেকে প্রোগ্রাম নিয়ে আন্দোলনে আসা আটকাতে পারেনি ৷ এই পোস্টেড ছেলেরা হল থেকে এক হয়ে বের না হলে নন-পোস্টেডরাও এক হয়ে বের হয়ে আসার সাহস করতে পারতো না ৷ ওই গার্টস আর বোল্ডনেস এই ছেলেগুলাই শো করতে পারে ৷ হলের পার্সপেক্টিভে সত্য এটাই যে, এই পোস্টেড তুলনামূলক ক্লিন ইমেজের হলের ছেলেরা আন্দোলনে এসেছিলো বলেই ১জুলাই থেকে ১৫ জুলাই সম্ভব হয়েছিলো এবং আন্দোলনটাকে প্রাথমিকভাবে অন্য কোনো দলের বা সরকারবিরোধী ট্যাগ দেওয়া যায়নি ৷
১৫জুলাই পর্যন্ত আন্দোলন না আসলে ৫ আগস্ট কখনো সম্ভব হতো কিনা সে বিষয়ে ঢের সন্দেহ আছে ৷
এখন প্রশ্ন হচ্ছে হলের এই পোস্টেড ছেলেগুলোকে আমি ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে নিষিদ্ধের কাতারে ফেলবো কিনা ৷
উত্তর : "ফেলবো না ৷"
যারা ১জুলাই থেকে আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে রাজপথে ন্যায়ের পক্ষে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছে তারা তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে ৷ সত্য এটাই যে, এই আন্দোলন সফল না হলে এই ছেলেগুলোকেই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হতো ৷ বিশ্বাসঘাতক ট্যাগ দেওয়া হতো ৷
যে সিস্টেমের কারনে এদেরকে বাধ্যতামূলক ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হয়েছে, পোস্ট নিতে হয়েছে সেই সিস্টেমের জন্য দায়ী হলে আপনাদের সবাইকে দায়ী হতে হবে ৷ কারন আপনারা চুপ ছিলেন ৷ হলে, ক্যাম্পাসে দিনের পর দিন ওদের সাথে হওয়া অন্যায়ে কেউ বাঁধা দেননি ৷ ওরা যদি সেইফটি এন্ড সিকিউরিটির জন্য পোস্ট নেয় তবে আপনিও নিজের গা বাঁচাতে চুপ ছিলেন ৷ বরং যখনই সুযোগ হয়েছে ওরা সাহস করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এসেছে ৷ আর তখনও আপনি নিরব দর্শক হয়ে অনেক কিছু শুধু দেখে গেছেন ৷
এই ৮০% ছেলের কেউ যদি পূর্বে কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তার শাস্তি হোক, কেউ যদি পরে কোনো অন্যায়ে জড়িত হয় তবে তদন্ত সাপেক্ষে তারও শাস্তি হোক ৷ কিন্তু যখন দরকার ছিল তখন রাজপথে নামালাম আর এখন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পোস্টেড দেখেই গণহারে গ্রেফতার হবে এটা কখনোই সমর্থন করিনা ৷ এটা হতে পারেনা ৷
যারা সময়ের প্রয়োজনে ন্যায়ের পক্ষে ছাত্রলীগের সকল বাঁধা উপেক্ষা করে আমার সাথে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছে তারা আমার ভাই ৷ ২৪ এর অভ্যুত্থানের যোদ্ধা ৷ আমি তাদের পক্ষে থাকবো ৷
সত্য সত্যই ৷
কে কি বললো তাতে আমার কিছু যায় আসেনা ৷
সমন্বয়ক সারজিস আলম
1 week ago | [YT] | 27
View 11 replies
Sarjis alom officials
২টি রিট করেছি ৷
১. আওয়ামীলীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দিবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট ৷
২. এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সকল একটিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট ৷
দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই ৷
সমন্বয়ক সারজিস আলম
1 week ago (edited) | [YT] | 74
View 11 replies
Load more